পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যাথা

পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যাথা দ্রুত কমানোর উপায়।

সেয়ার করুনঃ

বয়সন্ধি কালে পিরিয়ড শুরুর মাধ্যমে একজন নারী তার জীবনের পূর্ণতা লাভ করে থাকেন। সে হিসেবে প্রতিমাসে মেয়েদের মাসিক হওয়া প্রকৃতগত ভাবেই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু অধিকাংশ মেয়েরাই পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যাথা ভোগে থাকেন । এছাড়া অনেকই বলতে শোনা যায় মাসিকের সময় পেটে ব্যাথা হলে বাচ্চা নিতে সমস্যা হয়। এই বিষয় গুলো মেয়েরা কারো সাথে সেয়ার করতে পারে না এমন কি নিজের পরিবার কিংবা বন্ধু মহলেও না। আশেপাশের এসব কুসংস্কার শুনে তারা মানসিক ভাবে ডিপ্রেশন চলে আসে। তো আজকে এই বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

মাসিকের সময় রক্তক্ষরণ কেন হয়?

মেয়েদের প্রজনন তন্ত্রের অঙ্গগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে জরায়ু বা uterus. মেয়েদের জরায়ু গঠিত হয় তিনটি স্তর দ্বারা। ভেতরের যে স্তর থাকে তার নাম এন্ডোমেট্রিয়াম (endometrium). মাসিকের সময় বিভিন্ন হরমোনের (ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন) তারমধ্যের ফলে জরায়ুর ভেতরে অংশ অথাৎ এন্ডোমেট্রিয়াম necrosis বা পচে গিয়েই মূলত রক্তক্ষরণ হয় যাকে আমরা মাসিক বলে থাকি।

পিরিয়ডের সময় ব্যাথা কেন হয়?

হরমোনের তারমধ্যের ফলে জরায়ুর ভেতরে অংশ এন্ডোমেট্রিয়াম যখন পচে যাওয়া শুরু হয়, তখন এন্ডোমেট্রিয়ামের পচে যাওয়া অংশগুলোকে জরায়ু থেকে বের করার জন্য জরায়ুতে এক ধরনের সংকোচন শুরু হয়। এই সংকোচন থেকেই মূলত মাসিকের সময় পেটে ব্যাথা হয়। এছাড়া মাসিকের সময় শরীরে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন নামক আরেক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নিঃসৃত হয়। এই প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন জরায়ুর দেয়ালের সংকোচন আরও তীব্র করে। ফলে ব্যথার তীব্রতা আরও বেড়ে যায়।

পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যাথা

তবে সবার মাসিকের সময় ব্যাথা হয় না আবার হলেও ব্যাথা ধরন এক হয় না। কারন মাসিকের সময় সবার জরায়ুতে সংকোচন এবং শরীরে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন নিঃসৃত হওয়ার পরিমান সমান নয়। কেন সমান নয় এই উত্তর এখনো অজানা। মেয়েদের মাসিকের সময় পেটে ব্যাথা হওয়াকে মেডিক্যালের ভাষায় বলা হয় Dysmenorrhea. মাসিকের সময় মাসিকের সময় পেটে ব্যাথা হওয়াকে সাধারনত দুই ভাগে ভাগ করা যায়,

১) প্রাথমিক কারন (Primary Dysmenorrhea)

২) রোগ জনিত কারন (Secondary Dysmenorrhea)

১) প্রাথমিক কারনঃ-

মাসিকের সময় পেটে ব্যাথা যদি কোন রোগের কারন ছাড়াই হয় সাধারণত তাকে primary dysmenorrhea বলা হয়। এটি খবুই কমন, বিশেষ অবিবাহিত মেয়েদের।

এখন প্রশ্ন হলো প্রাইমারি dysmenorrhea বুঝার উপায় কি?

অধিকাংশ ক্ষেত্রে Primary dysmenorrhea এর কোন নির্দিষ্ট কোন কারন থাকে না । তবে এর কিছু লক্ষণ দেখে বুঝায় যায়। যেমন

ক) এটি সাধারনত বংশগত কারনে বেশি হয়, অনেক সময় ভোক্তভূগীর ইতিহাস শুনলে দেখা যাবে তার মা অথবা বোনদের বা পরিবারের কারো মাসিকের সময় পেটে ব্যাথা ছিলো।

খ) বয়সঃ ১৩-১৪ বছর বয়সে মেয়েদের মাসিক শুরু হয়, primary dysmenorrhea সাধারণত মাসিক শুরু থেকেই দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে অবিবাহিত (১৩-১৮ বয়সী) মেয়েদের বেশি হয়।

গ) অধিকাংশ সময় এটি দুঃচিন্তার কারনে হয়ে থাকে, বিশেষ করে পরিক্ষার আগে বা কোন কিছু নিয়ে মেয়েরা যদি ডিপ্রেশনে থাকে তাহলে মাসিকের সময় পেটে ব্যাথা তুলনামূলক বেশি হতে পারে।

ঘ) এন্ডোমেট্রিয়াম necrosis বা পচে যাওয়ার কারনে সাধারনত মাসিকের সময় হালকা পেটে ব্যাথা কম বেশি সবার হতে পারে। তবে যদি এমন মনে হয় যে এটি আগের চেয়ে বেশি মনে হচ্ছে এবং ব্যাথার কারনে আপনার স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে কষ্ট হচ্ছে তাহলে হতে পারে এটি Primary dysmenorrhea.

ঙ) ব্যাথার ধরন: মাসিকের শুরুর দিকে ব্যাথা বেশি থাকে এবং ব্লিডিং বৃদ্ধির সাথে সাথে ব্যাথা কমে আসে।

চ) ব্যাথা সাধারনত পেটের নিচের অংশে শুরু হয় এবং অনেক সময় কোমড় এবং দু’পায়ের উরুর দিকে যেতে পারে।

২) রোগ জনিত কারনঃ-

মাসিকের সময় পেটে ব্যাথা যদি কোন রোগের কারনে হয় সাধারণত তাকে secondary dysmenorrhea বলা হয়। এটি বিবাহিত মেয়েদের বেশি হয়। বিশেষ করে যাদের বয়স ৩০ বছর বা তার চেয়ে বেশি। অথবা যদি এমন হয় পূর্বে কখনো আপনার মাসিকের সময় পেটে ব্যাথা ছিল না, হঠাৎ করে মাসিকের সাথে ব্যাথা শুরু হয়েছে তাহলে হতে পারে এটি Secondary Dysmenorrhea । Secondary Dysmenorrhea সাধারণ কোন রোগের কারনে হয়, যেমন

  • এন্ডোমেট্রিয়োসিস (Endometriosis)
  • জরায়ুতে টিউমার,
  • জরায়ুতে কোন পলিপ,
  • যেকোন ইনফেকশন বা PID (Pelvic Inflammatory Disease),
  • চকলেট সিস্ট (chocolate cyst),
  • এছাড়া যারা জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্যে IUCD (Intra-Uterine Contraceptive Device) যেমন কপার টি (Copper-T) ব্যাবহার করে থাকেন তাদেরও কিন্তু মাসিকরে সময় ব্যাথা হতে পারে।

নোট: মাসিকের সময় পেটে ব্যাথা প্রাথমিক কারনে হচ্ছে নাকি কোন রোগের কারনে হচ্ছে সেটি নিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই একজন গাইনি চিকিৎসকের পরার্মশ নিয়ে পেটের আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা উচিত।

রোগ জনিত কারনে মাসিকের সময় পেটে ব্যাথা বুঝার উপায়:

  • পূর্বে কখনো আপনার মাসিকের সময় পেটে ব্যাথা ছিল না, হঠাৎ করে মাসিকের সাথে ব্যাথা শুরু হয়েছে।
  •  পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যাথার সাথে  অনিমিত পিরিয়ড হলে ।
  •  পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যাথার সাথে অতিরিক্ত রক্তক্ষণ হলে।
  • পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যাথার সাথে গায়ে জ্বর হলে।
  • পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যাথার সাথে অস্বাভাকি স্রাব হলে।
  • পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যাথার সাথে পস্রাবে জ্বালা পোড়া ও সহবাসেরর সময় ব্যাথা হলে।

এই লক্ষণ গুলো যদি মাসিকের সময় পেটে ব্যাথার সাথে কারো দেখা দেয় তাহলে বুঝতে হবে কোন রোগের কারনে পেটে ব্যাথা হচ্চে।

পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যাথা কতদিন স্থায়ী হয়:

পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যাথা সাধারণত মাসিক শুরুর আগের দিন থেকেই ব্যাথা শুরু হতে পারে এবং মাসিক চলাকালীন ১-৩ দিন পর্যন্ত ব্যাথা স্থায়ী হতে পারে। কখনো কখনো এর চেয়ে বেশি হতে পারে। অবিবাহিত মেয়েদের ক্ষেত্রে কোন রোগজনিত কারন না থাকলে মাসিক শুরুর কয়েক বছর পরে ব্যাথার স্থায়ীত্ত্বকাল আস্তে আস্তে কমে আসে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বিয়ের পর কিংবা সন্তান প্রসবের পরে রোগজনিত কারন না থাকলে মাসিকের সময় পেটে ব্যাথা এমনিতেই ভালো হয়ে যায়।

মাসিকের সময় পেটে ব্যাথা হলে কি করনীয়ঃ

প্রাথমিক dysmenorrhea যেহেতু কোন রোগের কারনে হয়না, এটি সাধারনত বিয়ের পরে অথবা বাচ্চা জন্মদানের পরে নিজে নিজে ভাল হয়ে যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিয়ের পর বা নরমাল ডেলিভারির পরে প্রাথমিক dysmenorrhea চিরতরে ভালো হয়ে যায়। সেজন্যে এটি নিয়ে দুঃচিন্তার কিছু নেই। তবে কিছু নির্দেশনা মেনে চললে মাসিকের সময় পেটে ব্যাথা অনেক ক্ষেত্রেই কমানো সম্ভব।

মাসিকের সময় পেটে ব্যাথা হলে ২ ভাবে ব্যাথা কমানোর চেষ্টা করা উত্তম। ১) ঘরোয়া পদ্ধতি ২) ঔষধ সেবন করা।

১) পিরিয়ডের ব্যাথা কমানোর ঘরোয়া পদ্ধতি:

ক) মনোবল বৃদ্ধি করা, এবং এই সম্পর্কে তাকে সঠিক জ্ঞান নেয়া। পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যাথার জন্যে ভয়ের কোন কারন নেই, ১-৩ দিনের মধ্যে ব্যাথা এমনি কমে যাবে।

খ) ব্যাথা অসহনীয় হলে ব্যাথা কমানোর জন্যে পেটের নিচের অংশে গরম পানির সেক দেয়া, বাজারে water heater bag পাওয়া যায় যেগুলোর দাম ১০০-২০০ টাকা। সেগুলো কিনে মাসিকের সময় গরম পানির সেক নিতে পারেন। তাতে অনেকটাই ব্যাথা কমে যাবে। এসময় কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন এতে অনেকটাই আরাম হবে (ইনশাআল্লাহ)।

পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যাথা
পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যাথা

গ) পেটে হালকা মেসেজ করতে পারেন এতেও ব্যাথা কমে যাবে ইনশাআল্লাহ।

ঘ) আদা সেবন করুন: পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যাথা কমানোর জন্য আদার কার্যকারিতা রয়েছে। পিরিয়ডের ব্যাথা কমাতে পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগেই আদা কুচি করে এমনি এমনি খেতে পারেন অথবা গরম পানি অথবা চায়ের সাথে মিশিয়ে পান করতে পারেন এতে ব্যাথা কমাতে সাহায্য করবে।

ঙ) নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহন করতে হবে।

চ) নিয়মিত ব্যায়াম করা, নিয়মিত ব্যায়াম করলে পিরিয়ডের সময় পেটে প্রতিরোধ করা সম্ভব, প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে যেকোন ব্যায়াম করতে পারেন হাটাহাটি, সাতারকাটা, বিশেষ করা butter fly exercise করতে পারলে সবচেয়ে বেশি কার্যকর হবে। এছাড়া শ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন।

এসব করার পরেও যদি ব্যাথা না কমে সেক্ষেত্রে ব্যাথা কমানোর মেডিসিন নিতে হবে।

২) পিরিয়ডের ব্যাথা কমানোর ঔষধ:

ক) প্যারাসিটামল ৫০০ মি গ্রা ৪-৬ ঘন্টা পর পর নিতে পারেন (তবে ২৪ ঘন্টার ৪০০০ গ্রাম বা ৮ টি ট্যাবলেটের বেশি নেয়া যাবেনা।

খ) এগুলো করার পরেও যদি ব্যাথা না কমে সেক্ষেত্রে মেফিনেমিক এসিড যেটা বাজারে এইসপিআর বা HPR DS নামে পাওয়া যায়, সেগুলো ৮-১২ ঘন্টা পর পর নিয়ম অনুযায়ী সেবন করলে ব্যাথা কমে যাবে ইনশাআল্লাহ। এবং ব্যাথা কমে গেলে ঔষধ বন্ধ করে দিতে পারেন। এবং প্রত্যেকবার মাসিক শুরুর আগেই ব্যাথা কমানোর জন্যে প্রয়োজনীয় ঔষধ সাথে রাখতে পারেন।

গ) এছাড়া ট্রাইমোনিয়াম মিথাইল সালফেট অথবা আইবুপ্রোফেন জাতীয় ঔষধ চিকিৎসকের পরার্মশ নিয়ে

সেবন করা যেতে পারে।

মাসিকের সময় পেটে ব্যাথার চিকিৎসাঃ

উপরোক্ত নিয়ম মেনে এবং ঔষধ গুলো সেবন করেও যদি ব্যাথা না কমে সেক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসক পরামর্শ নিয়ে জন্মনিয়ন্ত্রণ খবার বরি নিলে ব্যাথা কম হতে পারে।পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যাথা হলে কিছু হরমোন জাতীয় (ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টোজেন) জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল দেয়া হয়। সেক্ষেত্রে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর পিলে খেতে হবে। কোন ভাবেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এসব পিল খাওয়া যাবে না। রোগ জনিত কারনে মাসিকের সময় পেটে ব্যাথা হয়েছে কিনা জানার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরিক্ষা নিরিক্ষার মাধ্যমে কারন খুজে বের করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে। কারন খুজে বের করে কিছু দিন ঔষধ খেলে সমস্যা টি কিন্তু ভালো হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

মাসিকের সময় পেটে ব্যাথা হলে কি কি পরিক্ষা করতে হয়?

সাধারনত পরীক্ষা নিরীক্ষা নির্ভর করে রোগীর অবস্থার উপর। তবে মাসিকের সময় পেটে ব্যাথা হলে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—

  • প্রস্রাব পরীক্ষা
  • রক্তে হরমোনের পরীক্ষা
  • পেটের আলট্রাসাউন্ড
  • ল্যাপারোস্কোপি
  • হিস্টেরোস্কোপি

মাসিকের সময় পেটে ব্যাথা হলে কি বাচ্চা নিতে সমস্যা হবে?

উত্তর হচ্ছে না। সাধারণত পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যাথার কারনে বাচ্চা নিতে কোন রকম সমস্যা হয় না। বরং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিয়ের পর বা বাচ্চা জন্মদানের পর এই ব্যাথা পুরোপুরি ভাল হয়ে যায়। তবে যদি কোন রোগের কারনে আপনার মাসিকের সময় পেটে ব্যাথা হয়ে থাকে সেক্ষেত্র কনসিভ করতে সমস্যা হতে পারে। ভালো খবর হলো সময়মতো রোগের কারন অনুযায়ী চিকিৎসা নিলে বাচ্চা হবে ইনশাআল্লাহ।

নোট: এছাড়া অনেকেই মনে করেন মাসিকের সময় পেটে হলে ব্যাথা নাশক ঔষধ খাওয়া যাবে না। এই সময় ব্যাথার ঔষধ খেলে বাচ্চা নিতে সমস্যা হবে। এগুলো প্রচলিত কুসংষ্কার। মাসিকের সময় পেটে ব্যাথা হলে ব্যাথানাশক ঔষধ অবশ্যই খেতে পারেন। এতে কোন সমস্যা নেই। ব্যাথা কমানোর ঔষধ খেলে পরবর্তীতে বাচ্চা নিতে কোন সমস্যা হবে না।

কখন ডাক্তার দেখানো উচিতঃ

  • বয়স ৩০বছর বা তার বেশি হলে
  • পিরিয়ড অনিমিত হলে ।
  • অতিরিক্ত রক্তক্ষণ হলে বা পিরিয়ডের মধ্যবর্তী সময়ে রক্তপাত হলে।
  • গায়ে জ্বর হলে।
  • অস্বাভাকি স্রাব হলে।
  • পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যাথার সাথে পস্রাবে জ্বালা পোড়া ও সহবাসেরর সময় ব্যাথা হলে।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *