যৌনাঙ্গে চুলকানি জনিত সমস্যাটি প্রত্যেকটা নারী তার জীবনের কোন না কোন সময় অনুভব করে থাকেন। এটি খুবই কমন এবং সাধারণ সমস্যা গুলোর মধ্যে একটি। কিন্তু কখনো কখনো এই সাধারণ সমস্যাটি বেশ অস্বস্তিকর এবং বিরক্তিকর হতে পারে। এছাড়া যোনিতে চুলকানি মেয়েদের প্রজনন তন্ত্রের কিছু জটিল রোগেরও ইঙ্গিত দেয়। যোনিতে চুলকানি নিয়ে বিস্তারিত জানবো আজকের আর্টিকেল ।
যৌনাঙ্গে চুলকানি বলতে কি বুঝায়?
যোনিতে চুলকানি বলতে সাধারণত মেয়েদের গোপন অঙ্গ বা যোনির আশেপাশের ত্বকে অস্বস্তিকর এবং বিরক্তিকর চুলকানির অনুভূতিকে বোঝায়। এই চুলকানি সাধারণত যোনির ত্বক এবং যোনির ভেতরের অংশে হতে পারে এবং এর পিছনে থাকতে পারে বিভিন্ন ইনফেকশন জনিত স্বাস্থ্য সমস্যা।
যোনির স্বাভাবিক পরিবেশ:
মেয়েদের যোনিপথে বিভিন্ন রকম ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক বসবাস করে। এসব জীবনু থেকে যৌনি পথকে রক্ষা করার জন্য যোনিতে সবসময় কিছু স্রাব নিঃসৃত হয় (যদিও সবসময় স্রাব দৃশ্যমান হয়না, পরিমাণে বেশি হলেই দেখা যায়)। মেয়েদের যোনি পথে যে তরল স্রাব নিঃসৃত হয় তার pH এর মাত্রা হলো ৪-৫ অর্থাৎ এটি এসিডিক (কোন তরলের pH এর মাত্রা যত কম সেটি ততই এসিডিক হয়) । যোনির পরিবেশ এসিডিক হওয়ার কারণেই কোন ব্যাক্টেরিয়া ভাইরাস ছত্রাক সহজে যৌনিতে সংক্রমণ করতে পারে না। কিন্তু কোনো কারণে যদি যোনির pH এর মাত্রা নষ্ট হয়ে যায় তখন যোনিতে বিভিন্ন ইনফেকশন হয়। যোনির স্রাব এসিডিক হওয়ার ফলে, অনেক সময় মেয়েদের অন্তবাসের রং ও পরিবর্তন হয়ে যায়, যার কারণে অনেকেই ভয় পান। এটি একদমই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার।
যৌনাঙ্গে চুলকানির কারণ
এখন যোনিতে চুলকানির বিভিন্ন কারণ গুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।
১) Chemical product: আপনি জানলে অবাক হবেন, যোনিতে চুলকানির জন্যে সবচেয়ে দায়ী হচ্ছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্য। যোনির ত্বক খুবই সেনসেটিভ। যোনি পরিষ্কার করার জন্যে অধিকাংশ নারীরাই বিভিন্ন সাবান, লোশন, এন্টিসেপটিক ও বিভিন্ন সুগন্ধি ব্যবহার করে থাকেন। এই প্রোডাক্ট গুলোতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ক্যামিক্যালের কারণ অধিকাংশ নারীদের যোনিতে চুলকানি হয়। এছাড়া, স্যানিটারি প্যাড, hair removal cream, underwear, latex কনডম, রঙিন টিস্যু পেপার ইত্যাদি থেকেও যোনিতে চুলকানি হতে পারে। এই প্রোডাক্ট গুলোতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ক্যামিক্যাল গুলো যোনিতে চুলকানি ও জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে এবং যোনির pH এর মাত্রা নষ্ট করে দেয়। ফলে যোনিতে চুলকানি সহ বিভিন্ন সংক্রমণ রোগীর হয়। এছাড়া অনেকেই সহবাসের সময় বিভিন্ন লোশন বা জেলি ব্যবহার করে থাকে,সেখান থেকেও যোনিতে চুলকানি হতে পারে।
২) বিভিন্ন সংক্রমণ
ক) ইস্ট ইনফেকশন (Yeast infection): ইস্ট ইনফেকশন মূলত এক ধরনের ফাংগাল ইনফেকশন। এগুলোকে ভ্যাজাইনাল ক্যানডিডা ইনফেকশন ও বলে। এ ধরনের ইনফেকশনে সাধারণত যোনিতে চুলকানি, জ্বালা পোড়া অনুভূত হয় এবং যোনিপথে সাদা চিটচিটে স্রাব হতে পারে।
খ) ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস (Bacterial Vaginosis): যদি কোন কারণে যোনির pH লেভেল নষ্ট হয়ে যায় ফলে যোনিতে সংক্রমণ হয়, এছাড়া অপরিকল্পিত ভাবে অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের কারণে যোনিতে থাকা উপকারী ব্যাক্টিরিয়ার সংখ্যা কমে যায় ফলে যোনিতে ইনফেকশন হয়। এ ধরনের ইনফেকশন হলে যোনিতে চুলকানির পাশাপাশি অন্যান্য লক্ষণ গুলো হলো,
- অতিরিক্ত সাদা স্রাব,
- যোনিতে ব্যথা,
- সহবাসের সময় ব্যথা ও জ্বালাপোড়া,
- সাদা স্রাবের সাথে দুর্গন্ধ (অনেকটা কাচা মাছের মতো দুর্গন্ধ) হতে পারে।
গ) STD (Sexually Transmitted Diseases): যারা একাধিক সঙ্গীর সাথে যৌনমিলন করেন তাদের বিভিন্ন যৌনবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। যেমন ট্রাইকোমোনিয়াসিস, গনোরিয়া, ক্লামাইডিয়া ইত্যাদি। এই ধরনের ইনফেকশন হলে যোনিতে চুলকানির পাশাপাশি অস্বাভাবিক স্রাব হবে, স্রাবের রং হলুদ বা সবুজ রঙের হতে পারে।
৩) চর্ম রোগ: যোনির আশেপাশে বিভিন্ন চর্মরোগ যেমন ত্বকের প্রদাহ, স্কেবিস, একজিমা, সোরিয়াসিস ইত্যাদির কারণে যোনিতে চুকানি হতে পারে।
৪) হরমোনের পরিবর্তন: মেয়েদের যোনিতে ভেজা রাখার জন্যে স্রাব নিঃসৃত হয়, ইস্ট্রোজেন নামক হরমোন যোনিতে স্রাব নিঃসৃত হওয়ার কাজ করে। যাদের বয়স ৪৫-৫০ এর বেশি তাদের যোনিতে চুলকানি সাধারণত হরমোনের পরিবর্তনের কারণে হয়। মেনোপজের পরে শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কম থাকে ফলে, যোনিতে স্রাব তুলনামূলক কম থাকে তখন যোনি শুকনো ভাব হয় এবং চুলকানি হয়। এছাড়া যাদের বয়স কম অর্থাৎ মাসিক শুরুর দিকে এবং গর্ভাবস্থায় এই হরমোনের প্রভাবে যোনিতে সংক্রমণের ঝুঁকি বারে এবং চুলকানি হতে পারে।
৫) এছাড়া মানসিক চাপ স্ট্রেস, খাদ্যাভ্যাস, ডায়বেটিস, স্থূলতা ,ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও যোনিতে চুলকানি হতে পারে।
৬) জরায়ুর মুখের ক্যানসারও চুলকানির কারণ।
যোনিতে চুলকানি হলে কি কি পরীক্ষা করতে হয়?
যৌনাঙ্গে চুলকানি সঠিক কারণ নির্ণয় করা জরুরি, কেননা বিভিন্ন কারণের জন্য বিভিন্ন চিকিৎসা প্রয়োজন। কেন যোনিতে চুলকানি হচ্ছে তা নির্ণয়ের জন্য কিছু সাধারণ ধাপ নিচে উল্লেখ করা হলো:
১. মেডিক্যাল ইতিহাস: ডাক্তার প্রথমে রোগীর মেডিক্যাল ইতিহাস জানতে চাইবেন, যেখানে অতীতের সংক্রমণ, যৌন স্বাস্থ্য, এবং কোন পণ্য বা ওষুধ ব্যবহারের তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
২. শারীরিক পরীক্ষা: যোনির শারীরিক পরীক্ষা এবং চুলকানির অবস্থান এবং প্রকৃতি বোঝা যায়।
৩. ল্যাব পরীক্ষা
- যোনির স্রাব পরীক্ষা: সংক্রমণের ধরন নির্ধারণে সাহায্য করে।
- রক্ত পরীক্ষা: হরমোনের স্তর এবং অন্যান্য সংক্রমণ পরীক্ষা করতে।
- স্কিন বায়োপসি: ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা নির্ণয়ে।
- আল্ট্রাসনোগ্রাফি
সবার যে সব পরীক্ষা করতে হবে বিষয়টা এমন নয়। চিকিৎসক আপনার কথা শুনে, রোগের অবস্থা দেখে পরীক্ষা করতে দিবেন।
যৌনাঙ্গে চুলকানির লক্ষণ
যৌনাঙ্গে চুলকানি সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এই লক্ষণগুলি নিম্নরূপ:
- চুলকানি: প্রধান এবং সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ।
- পোড়া অনুভূতি: যোনির ত্বকে পোড়া বা জ্বালা অনুভূতি।
- স্রাব: সাদা বা হলুদ স্রাব যা স্বাভাবিকের থেকে ভিন্ন এবং দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব হতে পারে।
- লালভাব: যোনির চারপাশে লালভাব বা ফোলাভাব।
- ব্যথা: বিশেষ করে প্রস্রাবের সময় বা যৌনমিলনের সময় ব্যথা।
যৌনাঙ্গে চুলকানির ঘরোয়া সমাধান:
যৌনাঙ্গে চুলকানি হলে নিম্ন লিখিত ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিতে পারেন।
১) বেকিং সোডা: বেকিং সোডাতে এন্টি-ফাংগাল ইফেক্ট রয়েছে। বেকিং সোডা ব্যবহার করলে ইস্ট ইনফেকশনের বিরুদ্ধে ভালো কাজ করে।
ব্যবহার বিধি: এমন একটি পরিষ্কার বোল/পাত্র নিন যেন আপনি এটিতে বসতে পারেন। এবার পাত্রটির ১/৪ (চার ভাগের এক ভাগ) পানি নিন। এতে ২ কাপ বেকিং সোডার যোগ করুন। ভালো ভাবে মিশানোর পরে, পাত্রের পানিতে ২০-৩০ মিনিট বসে থাকুন। এতে যৌনাঙ্গে চুলকানি অনেকাংশেই আরাম হবে।
২) দই: দই একটি ভালো মানের প্রোবায়োটিক। এতে উপকারী ব্যাক্টেরিয়া এবং এন্টি-ফাংগাল এজেন্ট রয়েছে। যোনির চুলকানি কমাতে যোনির চারপাশে, যোনিতে টকদই দিয়ে পেস্ট বানিয়ে লাগাতে পারেন। এবং এই সময় টক দই খেতে পারেন।
৩) ঢিলেঢালা সুতির অন্ত বাস ব্যবহার করুন। এতে করে যোনির অস্বস্তি দুর হবে।
৪) নারকেল তেল: নারকেলের তেল candida albicans নামক জীবাণু ধ্বংস করে। যোনিতে চুলকানি কমাতে ভালো মানের পিউর নারকেল তেল যোনিতে ব্যবহার করতে পারেন। যোনিতে কোন ফোসকা হলে বা ক্ষত হলে নারকেল তেল যোনিতে ব্যবহার করতে পারেন।
৫) প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবার যেমন টিক দুই, কলা, ইত্যাদি খেতে পারেন।
৬) চুলকানি থেকে তাৎক্ষণিক রেহাই এর জন্য বরফ বা বরফ-ঠান্ডা জলের সেঁক দিতে হবে। বিশেষ করে রাতের বেলা যখন চুলকানির তীব্রতা খুব বেশি হয় তখন এই বরফ বা বরফ-ঠান্ডা জলের সেঁক দিলে সেটি খুবই কার্যকারী হয়।
যৌনাঙ্গে চুলকানির চিকিৎসা
চিকিৎসা নির্ভর করে কেন আপনার যৌনাঙ্গে চুলকানি হচ্ছে তার উপর। সাধারণত যোনিতে চুলকানি যদি ১ সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয় তাহলে অবশ্যই মেডিক্যাল ট্রিটমেন্টের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যেমন
১) চুলকানির জন্যে সাধারণত এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ সেবন করুন, যেমন ফেক্সোফেনাডিন ১২০ মি গ্রা।
২) ইস্ট ইনফেকশনের ক্ষেত্রে এন্টি ফাংগাল ক্রিম যোনির চারপাশে ও যোনিতে ব্যবহার করা যায়। এছাড়া যোনিতে ব্যবহারের জন্যে এন্টি ফাংগাল সাপোজিটরি পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করা যায়। অনেক সময় মুখে ঔষধ খাওয়া প্রয়োজন হয়।
৩) Bacterial vaginosis এর ক্ষেত্রে অবশ্যই অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে৷
৪) মেনোপোজ বা হরমোন জনিত সমস্যা কারণে যোনিতে চুলকানি হলে ইস্ট্রোজেন ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫) ইনফেকশন কমানোর জন্যে কিছু প্রোবায়োটিক দেয়া যেতে পারে।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত?
১) যৌনি পথে চুলকানির সাথে যদি অস্বাভাবিক স্রাব হয়।
২) যদি স্রাবের রঙের কোন পরিবর্তন ঘটে, বিশেষ করে যদি স্রাবের রং সবুজ/ হলুদ ভাব, ধূসর ভাব হয়।
৩) যদি যোনির স্রাব দুর্গন্ধযুক্ত হয় অনেকটা কাচা মাছের মত দুর্গন্ধ হয়।
৪) স্রাব যদি ধলা ধলা, দইয়ের মত হয় বা দুধের ছানার মতো স্রাব হয়।
৫) যোনির চারপাশে যদি ফোসকা হয়।
৬) যোনির চারপাশে ব্যথা, জ্বালাপোড়া হয়।
৭) যদি শরীরে জ্বর বা পেটের নিচের অংশ ব্যথা হয় অথবা প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়।
৮) যৌনমিলনে ব্যথা বা অস্বস্তি হয়
৯) বয়স যদি ৫০ এর বেশি অথবা menopause বা মাসিক বন্ধ হওয়ার পরে এমন অতিরিক্ত স্রাব হয় তাহলে বুঝবেন এটি কোন সমস্যার কারণে হচ্ছে।
তখন কিন্তু আপনাকে অবশ্যই একজন গাইনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ এগুলো কোন সংক্রামক, যৌনবাহিত রোগ বা জরায়ুর মুখের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। তাই এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে কখনোই অবহেলা করবেন না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
যোনির চুলকানি কীভাবে প্রতিরোধ করবেন
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে এই সমস্যাটি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
১) গোপন অঙ্গগুলোকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন। রঙিন ও বেশি সুগন্ধিযুক্ত টয়লেট টিস্যু ও সাবান যৌনাঙ্গে ব্যবহার করবেন না।
২) পরিষ্কার করার সময় কখনো কোন এন্টিসেপটিক বা সাবান ব্যবহার করবেন না। তবে এখন বাজারে যৌনাঙ্গ পরিষ্কারের আলাদা কম খার যুক্ত কিছু সাবান বা তরল পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন৷ তবে স্বাভাবিক পানি ব্যবহার করাই উত্তম।
৩) সহবাসের পর প্রস্রাব করুন। যৌনমিলন ও প্রস্রাবের পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পানি অবশ্যই সামনে থেকে পিছনে ব্যবহার করবেন, পিছন থেকে সামনে নয়।
৪) যোনি পরিষ্কার করার সময় যোনির ভেতরে হাত দিবেন না। কারণ যোনি নিজেই নিজেকে পরিষ্কার রাখতে স্ব ক্ষম। পরিষ্কারের সময় যোনিতে হাত দিলে ইনফেকশনের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
৫) পর্যাপ্ত পানি পান করুন প্রতিদিন কমপক্ষে ১২-১৪ গ্লাস।
৬) পাতলা ঢিলেঢালা সুতির অন্তর্বাস ব্যবহার করুন, অন্তর্বাস নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
৭) খাদ্যতালিকায় শাকসবজি ও ফল যুক্ত করুন। বিশেষ করে কলা ও টকদই খেতে পারেন এতে ভাল উপকার পাবেন।
৮) নিয়মিত হাঁটার ও ব্যায়ামের অভ্যেস গড়ে তুলুন।
৯) যৌন মিলনের তৈলাক্ত জেলি বা latex condom ব্যবহার করবেন না।
১০) নিরাপদ যৌনমিলন এবং নিয়মিত STI (sexual transmitted infection) পরীক্ষা করা।